আজ ২রা কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৮ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

কবিতা-ছড়া ও গানে প্রাণবন্ত ছিলো ভোরের আলো সাহিত্য আসরের ৮৪৮তম অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত

ভোরের আলো বিডি ডেস্ক:

কবিতা-ছড়া ও গানে প্রাণবন্ত ছিলো ভোরের আলো সাহিত্য আসরের ৮৪৮তম অনুষ্ঠান  অনুষ্ঠিত।
আজ ২৯ জানুয়ারি২০২৪ (শুক্রবার)সকাল ১০ঘটিকায় ভোরের আলো সাহিত্য আসরের ৮৪৮তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সকাল ১০ঘটিকায় কিশোরগঞ্জ সদর থানা মার্কেটস্থ (মডেল থানা) মডার্ণ ডেন্টাল কেয়ারে এই সাহিত্য সভাটি অনুষ্টিত  হয়।
সাহিত্য আসরে সভাপতি হিসেবে (আজিজ ভাইয়ের অসুস্থতা হেতু) দায়িত্ব পালন করেন ৭১’র বীর মুক্তিযোদ্ধা  অবসর প্রাপ্ত সেনাসদস্য মো: আবদুল বাতেন।
সহিত্য আসরের প্রতিষ্ঠাতা মোঃ রেজাউল হাবিব রেজার সঞ্চালনায় এতে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেসরকারি  গণগ্রন্থাগারের কেন্দ্রীয় নির্বাহি কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ রুহুল আমিন।
অন্যান্যদের মধ্যে কবিতা পাঠ ও আলোচনায় অংশ নেন বিশিষ্ট ব্যাংকার বিমল চন্দ্র ভৌমিক।
সাহিত্য আসরের উপদেষ্টা মো: হিরা মিয়া, জ্ঞান তীর্থ  গ্রন্থাগারের সভাপতি ও প্রতিষ্ঠাতা মো : আলমগীর অলিক, মানবাধিকার কর্মী মির্জা মাহবুবা বেগ মৌসুমী, প্রতিবাদী কন্ঠ তারিন আক্তার ও ডা: আলেকুন্নেসা যুব নারী কল্যাণ সংস্থার প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত এবং নিজ শ্রমে স্বাবলম্বী মোছা: রিনা আক্তার।

অনুষ্ঠানের আলোচনা পর্বে বক্তারা বলেন ভোরের আলো সাহিত্য আসর শুধুমাত্র পদ্য-গদ্য উপস্থাপন করার স্থান নয় কিংবা মুক্তিযোদ্ধাকে সামনে রেখে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বুলি আওড়িয়ে  স্বাধীনতাবিরোধীদের আশ্রয় দেবার জায়গায়ও নয়।
এ সাহিত্যাঙ্গণ সরাসরি ৭১’র খুনি রাজাকারদেরকে লিখনীর মাধ্যমে চিহ্নিত করে এবল আিনের আওতায় আনার সফল চেষ্টা চালায়। এ সাহিত্য অঙ্গনের ছোঁয়ায় কিশোরগঞ্জে গড়ে ওঠেছে যুদ্ধাপরাধ প্রতিরোধ আন্দোলন কমিটি। যা অন্য কোনো সাহিত্য সংগঠনে তা পরিলক্ষিত হয়নি।
ভোরের আলো সাহিত্য আসরের প্রকাশিত স্মারকগুলোতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের জোর প্রতিধ্বনি বিদ্যমান।
এ আসরে প্রমাণিত স্বাধীনতাবিরোধীদের কোনো স্থান নেই। এ আসরে বসে মুক্তিযুদ্ধের কথা বলবে এবং অন্যত্র গিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী আলোচনায় মত্ত হবে এমন ব্যক্তিকে দূরে রেখেই আমরা আমাদের সাহিত্য কার্যক্রম পরিচালনা করি। স্বাধীনতাবিরোধী কোনো দাতার কাছ থেকে অর্থ সাহায্য নেয়া হয়েছে কিংবা তাদের কোনো লেখনি সহায়তা মেয়া হয়েছে তারও কোনো প্রমাণ নেই।
এ ভোরের আলো সাহিত্য আসরকে একটি অবয়ব ধরা হলে তাতে বলা যায় তার উপর থেকে নিচ পর্যন্ত সবটুকুই দেশপ্রেম ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় পরিপুষ্ট।  তাই ভোরের আলো সাহিত্য আসরই একমাত্র সংগঠন যারা কিশোরগঞ্জের রাজাকারদেরকে শাস্তির আওতায় আনতে লেখনি শক্তিতে বলিয়ান হয়ে কবিতা,ছড়া,লিমেরিক,প্রবন্ধ-নিবন্ধ,গান-কৌতুক ও অগ্নিঝড়ের মতো বক্তব্যের সাক্ষর রেখেছে।
এসব কথা ফুটে ওঠেছে ভোরের আলো সাহিত্য আসরের প্রতিজনের আলোচনা থেকে।
সবশেষ ভোরের আলো সাহিত্য আসরের এ অনুষ্ঠানের সভাপতি একটি গানের দু’লাইন  রোমন্থন করে সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     More News Of This Category